মৌলিক কণিকা | Elementary particles
মৌলিক কণিকা:
যে সব সূক্ষ্ম কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলে।
- পরমাণুতে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন নামে তিন ধরণের মৌলিক কণিকা আছে।
- ইলেকট্রন হচ্ছে পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা। ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন জে. জে. থমসন। এর ভর 9.11×10−28�। প্রোটন হচ্ছে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন সরিয়ে নিলে যা থাকে। আনেস্ট রাদারফোর্ড প্রোটন আবিষ্কার করেন। এর ভর 1.673×10−24�।
- নিউট্রন আধান নিরপেক্ষ। জেমস চ্যাডউইক ১৯৩২ সালে পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মবিশিষ্ট কণা নিউট্রন আবিষ্কার করেন। নিউট্রনের ভর 1.675×10−24�।
- পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে। ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের বাহিরে থাকে এবং তার চারদিকে পরিভ্রমণ করে।
- পরমাণুর বহিঃস্থ কক্ষপথ থেকে ইলেকট্রন বের করে আনা যায় এবং বাহির হতে পরমাণুর বহিঃস্থ কক্ষপথে অতিরিক্ত ইলেকট্রন যোগও করা যায়। আনা বা যোগ করা হলে আর বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ পরমাণু থাকে না, তখন আধানযুক্ত আয়নের সৃষ্টি হয়।
- পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো যেভাবে সজ্জিত বা বিন্যস্ত থাকে তাকে ঐ পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস বলে। পরমাণুর প্রতিটি শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রনের সংখ্যা 2�2। প্রথম শক্তিস্তরে (n=1) সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা =2�2=2×12=2
- নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে একটি পরমাণুর ভর সংখ্যা বলা হয়, একে নিউক্লিয়ন সংখ্যাও বলা হয় । ভর সংখ্যাকে A দ্বারা প্রকাশ করা হয়। প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা Z এবং নিউট্রন সংখ্যা N হলে, পরমাণুর ভর সংখ্যা A = Z + N। যেমন: সোডিয়ামের একটি পরমাণুতে প্রোটন আছে ১১টি, নিউট্রন আছে ১২টি ।সুতরাং সোডিয়ামের এই পরমাণুর ভর সংখ্যা ১১+১২= ২৩।
- পারমাণবিক ভর আবিষ্কার করেন জন ডাল্টন এবং হেনরি মোসলে ১৯১৩ সালে পারমাণবিক সংখ্যা আবিষ্কার করেন।
- কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা
মৌল | পারমাণবিক সংখ্যা | ভর সংখ্যা |
হাইড্রোজেন | ১ | ১ |
হিলিয়াম | ২ | ৪ |
কার্বন | ৬ | ১২ |
সোডিয়াম | ১১ | ২৩ |
ম্যাগনেসিয়াম | ১২ | ২৪ |
সিলিকন | ১৪ | ২৮ |
ক্যালসিয়াম | ২০ | ৪০ |
আর্সেনিক | ৩৩ | ৭৫ |
পারদ | ৮০ | ২০১ |
ইউরেনিয়াম | ৯২ | ২৩৮ |
যে সকল পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়। যেমন: হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ হলো: প্রোটিয়াম(11�), ডিউটেরিয়াম (11�) এবং ট্রিটিয়াম (13�)।