Course Content
পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক (Food, Nutrition, and Digestion)
0/17
ষষ্ঠ অধ্যায় : জীবে পরিবহণ (Transport in Living Organisms)
0/21
সপ্তম অধ্যায় : গ্যাসীয় বিনিময়
0/12
অষ্টম অধ্যায় : রেচন প্রক্রিয়া
0/12
দশম অধ্যায় : সমন্বয়
0/13
একাদশ অধ্যায় : জীবের প্রজনন
0/10
দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন
0/11
ত্রয়োদশ অধ্যায়: জীবের পরিবেশ
0/10
জীব বিজ্ঞান SSC Online

বংশগতির:  মাতা-পিতার বৈশিষ্ট্য সন্তান-সন্ততি পেয়ে থাকে। পৃথিবীর সব জীবের ক্ষেত্রেই এ
স্বাভাবিক নিয়ম প্রযোজ্য। তাই আমরা আমের বীজ থেকে আম গাছ, কাঁঠালের বীজ থেকে কাঁঠাল গাছ, পাটের
বীজ থেকে পাট গাছ এবং ধানের বীজ থেকে ধান গাছই পেয়ে থাকি। এভাবেই বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায়
থাকে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- ‘Like father like son অর্থাৎ ‘যেমন পিতা তেমন পুত্র’। খনার বচনে বলা
হয়েছে ‘নদীর জল ঘোলা ভাল, জাতের মেয়ে কালো ভাল’ অর্থাৎ ভাল বংশের মেয়ে কালো হলেও সে ভাল কারণ সে ভাল
বংশ থেকে এসেছে। এ সকল প্রবাদসমূহ বংশগতির ধারাকে নির্দেশ করে।
এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণার প্রথম পর্যায়ে বিজ্ঞানীরা ধারণা পান যে, মাতা-পিতার মিলনে প্রায় একই বৈশিষ্ট্যের সন্তানসন্ততির জন্ম হয়। মাতা-পিতা থেকে তাদের বৈশিষ্ট্যগুলো সন্তান-সন্ততিতে আসার প্রক্রিয়াকে বংশগতি বলা হয়।
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় বংশগতি নিয়ে বিশদ আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে বংশগতিবিদ্যা বলা হয়।
বংশগতিবিদ্যা হলো জীববিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা।
বংশগতি একটি রক্ষণশীল ধারণা। এ প্রক্রিয়ায় পিতা-মাতার বিশেষ লক্ষণগুলো সন্তান-সন্ততির মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বংশধরের মধ্যে পিতা-মাতার লক্ষণগুলোর অবিকল প্রতিরূপ দৃষ্ট হয় না। একই পূর্ব পুরুষ থেকে সৃষ্ট
সন্তানদের মধ্যে আকৃতি, গঠন-প্রকৃতি ও শারীরবৃত্তীয় সাদৃশ্য থাকলেও প্রত্যেকেরই কিছু স্বাতন্ত্র্য, বৈচিত্র্য এবং পার্থক্য
থাকে। এগুলোকে পরিবৃত্তি বলা হয়। বংশগতি ও পরিবৃত্তির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।