Course Content
অধ্যায় ২: প্রাণীর পরিচিতি (Introduction to Animals)
0/35
অধ্যায় ৩: মানব শারীরতত্ত্ব – পরিপাক ও শোষণ (Human Physiology – Digestion and Absorption)
অধ্যায় ৪: মানব শারীরতত্ত্ব – রক্ত ও সঞ্চালন (Human Physiology – Blood and Circulation)
অধ্যায় ৫: মানব শারীরতত্ত্ব – শ্বাসক্রিয়া ও শ্বসন (Human Physiology – Respiration and Breathing)
অধ্যায় ৬: মানব শারীরতত্ত্ব – বর্জ্য ও নিষ্কাশন (Human Physiology – Excretion and Elimination)
অধ্যায় ৭: মানব শারীরতত্ত্ব – চলন ও অঙ্গচালনা (Human Physiology – Movement and Locomotion)
অধ্যায় ৮: মানব শারীরতত্ত্ব – সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ (Human Physiology – Coordination and Control)
অধ্যায় ৯: মানব জীবনের ধারাবাহিকতা (Continuity of Human Life)
অধ্যায় ১০: মানবদেহের প্রতিরক্ষা (Defense Mechanisms of the Human Body)
অধ্যায় ১১: জীনতত্ত্ব ও বিবর্তন (Genetics and Evolution)
অধ্যায় ১২: প্রাণীর আচরণ (Animal Behavior)
জীববিজ্ঞান 2য় পত্র HSC Biology 2nd paper Revision Note
About Lesson

রুই মাছের শিরাতন্ত্র (Venous System of Labeo rohita):
কৈশিক জালিকা (blood capillaries) থেকে উৎপন্ন হয়ে, যেসব রক্তনালি দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে অক্সিজেনবিহীন (deoxygenated) রক্ত সংগ্রহ করে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে নিয়ে আসে, সেগুলোই সম্মিলিতভাবে শিরাতন্ত্র গঠন করে। রুইমাছের শিরাতন্ত্রকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র এবং
পোর্টাল শিরাতন্ত্র।
নিচে এদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো–

১. সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র (Syntemic Venus System):
যেসব শিরার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বা তন্ত্র থেকে রক্ত সরাসরি হৃৎপিন্ডে ফিরে আসে সেগুলোকে সিস্টেমিক শিরা বলে। সিস্টেমিক শিরার সমন্বয়ে গঠিত হয় সিস্টেমিক শিরাতন্ত্র। এক জোড়া সম্মুখ কার্ডিনাল শিরা, এক জোড়া জুগুলার শিরা ও এক জোড়া পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা রুই মাছের সিস্টেমিক শিরাতন্ত্রের প্রধান অংশ গঠন করে। শরীরের সম্মুখ অংশ থেকে সম্মুখ কার্ডিনাল শিরা ও জুগুলার শিরা রক্ত সংগ্রহ করে সে পাশের ডাক্টাস ক্যুভিয়ে (ductus cuvieri)-তে উন্মুক্ত হয়। পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা দেহের পশ্চাদ্ভাগ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং সে পাশের ডাক্টাস ক্যুভিয়েতে উন্মুক্ত হয়। উভয় পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা সেগমেন্টাল শিরা, রেনাল শিরা, জেনিটাল শিরা ইত্যাদি থেকেও রক্ত গ্রহণ করে। উভয় ডাক্টাস ক্যুভিয়ে হৃৎপিণ্ডের সাইনাস ভেনোসাসে মুক্ত হয়। প্রতি পাশের বক্ষ-পাখনা ও শ্রোণি-পাখনা থেকে সাবক্ল্যাভিয়ান শিরা রক্ত সংগ্রহ করে ডাক্টাস ক্যুভিয়ে-এর মাধ্যমে সাইনাস ভেনোসাসে প্রেরণ করে। এছাড়া ডান ও বাম পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা কতিপয় অনুপ্রস্থ শিরা দ্বারা সংযুক্ত থাকে। এদের অনুগ্রন্থ অ্যানাস্টোমোসিস (transverse annitomosis) বলে।

২. পোর্টাল শিরাতন্ত্র (Portal system) :
কৈশিক নালিকা থেকে উৎপন্ন হয়ে অক্সিজেনবিহীন রক্ত নিয়ে হৃৎপিণ্ডে যাওয়ার পথে যে সব শিরা অন্য কোনো অঙ্গে প্রবেশ করে আবার কৈশিক নালিতে পরিণত হয়, সেগুলোকে পোর্টাল শিরা বলে। পোর্টাল শিরাগুলো নিয়ে পোর্টাল শিরাতন্ত্র গঠিত হয়।

হেপাটিক পোর্টালতন্ত্র ও রেনাল পোর্টালতন্ত্র নিয়ে রুই মাছের পোর্টালতন্ত্র গঠিত।

হেপাটিক পোর্টালতন্ত্র (Hepatic portal system) : যকৃত পোর্টাল শিরা পরিপাকতন্ত্র থেকে রক্ত সংগ্রহ করে যকতে প্রবেশ করে সেখানে শাখায় বিভক্ত হয়ে রক্ত জালক সৃষ্টি করে। যকৃত শিরা (hepatic vein) এই রক্ত জালক থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সরাসরি সাইনাস ভেনোসাসে উন্মুক্ত হয়।

রেনাল পোর্টাল তন্ত্র (Renal portal Bystem) : দেহের লেজ অঞ্চল থেকে কডাল শিরা (caudal vein) রক্ত সংগ্রহ করে দেহকাণ্ডে প্রবেশ করে এবং দুটি শাখায় বিভক্ত হয়। ডান শাখাটি ডান পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা হিসেবে সম্মুখে অগ্রসর হয়, বাম শাখাটি বৃক্কে প্রবেশ করে বিভক্ত হয়ে জালিকা সৃষ্টি করে। একে রেনাল পোর্টাল শিরা বলে। বৃক্ক থেকে রক্ত বাম পশ্চাৎ কার্ডিনাল শিরা সংহাস ক্যুভিয়ের মাধ্যমে সাইনাস ভেনোসাসে পৌঁছায়।