Course Content
অধ্যায় ২: প্রাণীর পরিচিতি (Introduction to Animals)
0/35
অধ্যায় ৩: মানব শারীরতত্ত্ব – পরিপাক ও শোষণ (Human Physiology – Digestion and Absorption)
অধ্যায় ৪: মানব শারীরতত্ত্ব – রক্ত ও সঞ্চালন (Human Physiology – Blood and Circulation)
অধ্যায় ৫: মানব শারীরতত্ত্ব – শ্বাসক্রিয়া ও শ্বসন (Human Physiology – Respiration and Breathing)
অধ্যায় ৬: মানব শারীরতত্ত্ব – বর্জ্য ও নিষ্কাশন (Human Physiology – Excretion and Elimination)
অধ্যায় ৭: মানব শারীরতত্ত্ব – চলন ও অঙ্গচালনা (Human Physiology – Movement and Locomotion)
অধ্যায় ৮: মানব শারীরতত্ত্ব – সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ (Human Physiology – Coordination and Control)
অধ্যায় ৯: মানব জীবনের ধারাবাহিকতা (Continuity of Human Life)
অধ্যায় ১০: মানবদেহের প্রতিরক্ষা (Defense Mechanisms of the Human Body)
অধ্যায় ১১: জীনতত্ত্ব ও বিবর্তন (Genetics and Evolution)
অধ্যায় ১২: প্রাণীর আচরণ (Animal Behavior)
জীববিজ্ঞান 2য় পত্র HSC Biology 2nd paper Revision Note
    About Lesson

    প্রাণীর বিভিন্নতা বা প্রাণিবৈচিত্র্য (Animal Diversity)

    পৃথিবীর সমস্ত জলচর, স্থলচর ও খেচর প্রাণীর মধ্যে যে জিনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুসংস্থানগত বিভিন্নতা দেখা যায় প্রজনন, পরিযায়ী (migration) সহ আরও অনেক বিষয়ে প্রাণিদের বৈচিত্র্য সুস্পষ্ট। প্রত্যেক প্রাণী নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে মন্ডিত হয়ে অন্য প্রাণী থেকে ভিন্ন । পৃথিবীর বিচিত্র পরিবেশে দৃশ্য ও অদৃশ্যমান অসংখ্য প্রাণীর বিচরণ রয়েছে। প্রাণিবৈচিত্র্যের প্রকারভেদ প্রাণিবৈচিত্র্য নিচে বর্ণিত তিন প্রকার ।

    ক. জিনগত বৈচিত্র্য (Genetic diversity): একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন প্রাণীর মধ্যে জিনগত পার্থক্যের কারণে উক্ত প্রজাতির প্রাণিদের মধ্যে যে বৈচিত্র্যের উদ্ভব ঘটে তাকে জিনগত বৈচিত্র্য বলে। এ ধরনের বৈচিত্র্য যেহেতু একই প্রজাতির মধ্যে ঘটে তাই একে অন্তঃপ্রজাতিক (intraspecific) বৈচিত্র্যও বলা হয়। যেমন-একজন আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ এবং একজন অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ মানুষ উভয়েই একই প্রজাতি অর্থাৎ Homo sapiens -এর অন্তর্ভুক্ত হওয়াসত্ত্বেও এদের দেহের গঠন, গায়ের রং, চুলের রং ও আকৃতি ইত্যাদিতে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। জিনগত পার্থক্যের কারণেই এদের মধ্যে বৈচিত্র্যতা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত জিনগত বৈচিত্র্যের বিষয়টি কেবল গৃহপালিত প্রজাতি বা চিড়িয়াখানায় কিংবা উদ্ভিদ উদ্যানের প্রজাতির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতো, বর্তমানে বন্যপ্রজাতির ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে।

    খ. প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity) : ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে প্ৰজাতিগত বৈচিত্র্য বলা হয় দুই প্রজাতির প্রাণী কখনোই এক রকম হয় না। একই গণভুক্ত প্রজাতিগুলোর মধ্যে ক্রোমোজোম সংখ্যা ও আঙ্গিক গঠনে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। এ ধরনের বৈচিত্র্যকে আন্তঃপ্রজাতিক (interspecific) বৈচিত্র্যও বলা হয়। যেমন-রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris) এবং সিংহ (Panthera leo) একই গণভুক্ত দুটি ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। এদের মধ্যে গণপর্যায়ে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মিল থাকলেও প্রজাতি পর্যায়ে ক্রোমোজোম সংখ্যা ও জিনের বিন্যাস ভিন্ন হওয়ার ফলে এদের বৈশিষ্ট্যাবলির মধ্যে প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বিরাজ করে।  

    গ. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity): পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন জলবায়ুর সাথে জীবজগতের মিথস্ক্রিয়ায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশীয় একক বা বায়োম (biom) সৃষ্টি হয়) যেমন-মরু বায়োম, বনভূমি বায়োম, তৃণভূমি বায়োম ইত্যাদি। প্রতিটি বায়োমে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমন্ডিত বৈচিত্র্যময় জীব রয়েছে। বিভিন্ন বায়োমে বাসকারী জীবের বৈচিত্র্যকে বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য বলে। তুন্দ্রা বায়োমের শ্বেত ভল্লুক এবং বনভূমি বায়োমের ভাল্লুকের মধ্যে এ বৈচিত্র্য বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্রের একটি উদাহরণ।