Course Content
পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক (Food, Nutrition, and Digestion)
0/17
ষষ্ঠ অধ্যায় : জীবে পরিবহণ (Transport in Living Organisms)
0/21
সপ্তম অধ্যায় : গ্যাসীয় বিনিময়
0/12
অষ্টম অধ্যায় : রেচন প্রক্রিয়া
0/12
দশম অধ্যায় : সমন্বয়
0/13
একাদশ অধ্যায় : জীবের প্রজনন
0/10
দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন
0/11
ত্রয়োদশ অধ্যায়: জীবের পরিবেশ
0/10
জীব বিজ্ঞান SSC Online
About Lesson

কোষ বিভাজন : বিভাজনের মাধ্যমে সংখ্যাবৃদ্ধি কোষের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
এককোষী জীব যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ঈষ্ট, ঘধারপঁষধ শৈবাল প্রভৃতি বার বার বিভাজনের মাধ্যমে একটি থেকে
অসংখ্য এককোষী জীবে পরিণত হয়। বিশালদেহী একটি বটগাছের সূচনাও কিন্তু একটি মাত্র কোষ জাইগোট হতে। রুডল্ফ
ভিরশাও ( ১৮৫৮) যথার্থই বলেছেন, গাছ থেকে যেমন গাছের সৃষ্টি হয়, প্রাণী থেকে সৃষ্টি হয় প্রাণীর
তেমন কোষ থেকে কেবল কোষেরই সৃষ্টি হতে পারে। এককোষী নিষিক্ত ডিম্বক হতে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি
পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। কোষ বিভাজন একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবের দৈহিক বৃদ্ধি ও
বংশ বৃদ্ধি ঘটে। যে প্রক্রিয়ায় একটি কোষ বিভাজিত হয়ে একাধিক কোষের সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন বলা হয়। যে
কোষটি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃকোষ এবং বিভাজনের ফলে যে নতুন কোষ উৎপন্ন হয়, তাকে অপত্য কোষ বলা হয়।
ডধষঃবৎ ঋষবসসরহম (১৮৮২) খ্রিস্টাব্দে সামুদ্রিক সালামান্ডার কোষে প্রথম কোষ বিভাজন প্রত্যক্ষ করেন। সাধারণত
কোষের প্রধান দুটি অংশ থাকে। যেমন- নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস এবং
সাইটোপ্লাজম উভয়েই বিভাজিত হয়। কোষ বিভাজনে কোষের নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে বলা হয় ক্যারিওকাইনেসিস
এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে বলা হয় সাইটোকাইনেসিস।
কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ : জীবজগতে তিন প্রকারের কোষ বিভাজন দেখা যায়। যথা- (ক) অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ
কোষ বিভাজন, (খ) মাইটোসিস বা সমীকরণিক কোষ বিভাজন এবং (গ) মায়োসিস বা হ্রাসমূলক কোষ বিভাজন।
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম উভয়েই
সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়। এক্ষেত্রে
নিউক্লিয়াসটি সরাসরি দুটি অংশে বিভক্ত হয়। নিউক্লিয়াসটি প্রথমে লম্বা হয়
এবং পরে মধ্যখানে ভাগ হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিউক্লিয়াস
বিভাজনের সাথে সাথে কোষের কোষ প্রাচীর বা কোষ ঝিল্লীসহ
সাইটোপ্লাজম মাঝ বরাবর সঙ্কুচিত হতে থাকে এবং এক সময় বিচ্ছিন্ন
হয়। ফলে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। পরে অপত্য কোষ দুটি বৃদ্ধি
পেয়ে মাতৃকোষের অনুরূপ আকৃতি লাভ করে। ব্যাকটেরিয়া, কতিপয় ঈষ্ট
এবং অ্যামিবা প্রভৃতি এককোষী জীবে বিশেষ করে আদিকোষী জীবে এ
প্রকার কোষ বিভাজন দেখা যায়।
চিত্র ৩.১.১ : অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন
মাইটোসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমোসোম উভয়েই
একবার করে বিভক্ত হয় তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলা হয়।
মায়োসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ক্রোমোসোম মাত্র একবার এবং নিউক্লিয়াস পরপর দু’বার বিভক্ত
হয়, ফলে সৃষ্ট চারটি অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা (হ) মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার (২হ) অর্ধেক হয়, তাকে
মায়োসিস কোষ বিভাজন বলা হয়।কোষ বিভাজন : বিভাজনের মাধ্যমে সংখ্যাবৃদ্ধি কোষের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
এককোষী জীব যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ঈষ্ট, ঘধারপঁষধ শৈবাল প্রভৃতি বার বার বিভাজনের মাধ্যমে একটি থেকে
অসংখ্য এককোষী জীবে পরিণত হয়। বিশালদেহী একটি বটগাছের সূচনাও কিন্তু একটি মাত্র কোষ জাইগোট হতে। রুডল্ফ
ভিরশাও (জঁফড়ষভ ঠরৎপযড়,ি ১৮৫৮) যথার্থই বলেছেন, গাছ থেকে যেমন গাছের সৃষ্টি হয়, প্রাণী থেকে সৃষ্টি হয় প্রাণীর
তেমন কোষ থেকে কেবল কোষেরই সৃষ্টি হতে পারে। এককোষী নিষিক্ত ডিম্বক হতে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি
পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। কোষ বিভাজন একটি মৌলিক ও অত্যাবশ্যকীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবের দৈহিক বৃদ্ধি ও
বংশ বৃদ্ধি ঘটে। যে প্রক্রিয়ায় একটি কোষ বিভাজিত হয়ে একাধিক কোষের সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন বলা হয়। যে
কোষটি বিভাজিত হয় তাকে মাতৃকোষ এবং বিভাজনের ফলে যে নতুন কোষ উৎপন্ন হয়, তাকে অপত্য কোষ বলা হয়।
ডধষঃবৎ ঋষবসসরহম (১৮৮২) খ্রিস্টাব্দে সামুদ্রিক সালামান্ডার কোষে প্রথম কোষ বিভাজন প্রত্যক্ষ করেন। সাধারণত
কোষের প্রধান দুটি অংশ থাকে। যেমন- নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস এবং
সাইটোপ্লাজম উভয়েই বিভাজিত হয়। কোষ বিভাজনে কোষের নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে বলা হয় ক্যারিওকাইনেসিস
এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজনকে বলা হয় সাইটোকাইনেসিস।
কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ : জীবজগতে তিন প্রকারের কোষ বিভাজন দেখা যায়। যথা- (ক) অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ
কোষ বিভাজন, (খ) মাইটোসিস বা সমীকরণিক কোষ বিভাজন এবং (গ) মায়োসিস বা হ্রাসমূলক কোষ বিভাজন।
অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম উভয়েই
সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে, তাকে অ্যামাইটোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়। এক্ষেত্রে
নিউক্লিয়াসটি সরাসরি দুটি অংশে বিভক্ত হয়। নিউক্লিয়াসটি প্রথমে লম্বা হয়
এবং পরে মধ্যখানে ভাগ হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিউক্লিয়াস
বিভাজনের সাথে সাথে কোষের কোষ প্রাচীর বা কোষ ঝিল্লীসহ
সাইটোপ্লাজম মাঝ বরাবর সঙ্কুচিত হতে থাকে এবং এক সময় বিচ্ছিন্ন
হয়। ফলে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। পরে অপত্য কোষ দুটি বৃদ্ধি
পেয়ে মাতৃকোষের অনুরূপ আকৃতি লাভ করে। ব্যাকটেরিয়া, কতিপয় ঈষ্ট
এবং অ্যামিবা প্রভৃতি এককোষী জীবে বিশেষ করে আদিকোষী জীবে এ
প্রকার কোষ বিভাজন দেখা যায়।
চিত্র ৩.১.১ : অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন
মাইটোসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমোসোম উভয়েই
একবার করে বিভক্ত হয় তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলা হয়।
মায়োসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ক্রোমোসোম মাত্র একবার এবং নিউক্লিয়াস পরপর দু’বার বিভক্ত
হয়, ফলে সৃষ্ট চারটি অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা (হ) মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার (২হ) অর্ধেক হয়, তাকে
মায়োসিস কোষ বিভাজন বলা হয়।

download 6 1

মাইটোসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস এবং ক্রোমোসোম উভয়েই
একবার করে বিভক্ত হয় তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলা হয়।
মায়োসিস কোষ বিভাজন : যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ক্রোমোসোম মাত্র একবার এবং নিউক্লিয়াস পরপর দু’বার বিভক্ত
হয়, ফলে সৃষ্ট চারটি অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা (n) মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার (২n) অর্ধেক হয়, তাকে
মায়োসিস কোষ বিভাজন বলা হয়