শক্তি পিরামিডের ধারণা : একটি বাস্তুতন্ত্রের নির্দিষ্ট এলাকাতে এবং নির্দিষ্ট সময়কালে বিভিন্ন খাদ্যস্তরের
(লেভেল) জীব কর্তৃক ব্যবহৃত মোট শক্তির হিসাব অনুযায়ী অঙ্কিত লৈখিক চিত্রকে শক্তির পিরামিড বলা হয়।
সাধারণত কোন বাস্তুতন্ত্রের এক বর্গমিটার এলাকা এবং এক বছর সময়কালের একক হিসেবে ব্যবহৃত শক্তির
হিসাব করা হয়। কোন বাস্তুতন্ত্রের এক বর্গমিটার এলাকায় এক বছর সময়কালে প্রথম খাদ্যস্তরের জীব তথা উৎপাদক যে
পরিমাণ শক্তি সংগ্রহ করে, তা দ্বিতীয় স্তরের জীব কর্তৃক সংগৃহীত শক্তি থেকে বেশি, আবার দ্বিতীয় স্তরের সংগৃহীত শক্তি
তৃতীয় স্তরের জীব কর্তৃক সংগৃহীত শক্তি থেকে বেশি। চতুর্থ স্তরের জীব
সবচেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। এজন্য উৎপাদক পিরামিডের ভূমিতে
এবং চূড়ান্ত খাদক শীর্ষে অবস্থান করে।
খাদ্য শৃঙ্খল সীমিত রাখতে শক্তি পিরামিডের প্রভাব : খাদ্য শৃঙ্খলে
শক্তির প্রবাহ সব সময়ই একমুখী। এ শক্তি প্রবাহকে কখনও
বিপরীতমুখী করা যায় না। প্রতিটি ধাপে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ শক্তি
কমে। শক্তির এ ক্রমবর্ধমান ক্ষয় খাদ্য শিকলের আকারকে ৪ বা ৫ টি
ধাপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। খাদ্য শিকল যত দীর্ঘ হবে উর্ধ্বতম ট্রফিক
লেভেলে শক্তির পরিমাণ ততই কমতে থাকবে এবং এক পর্যায়ে এসে
কোন শক্তিই অবশিষ্ট থাকবে না।