Course Content
পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক (Food, Nutrition, and Digestion)
0/17
ষষ্ঠ অধ্যায় : জীবে পরিবহণ (Transport in Living Organisms)
0/21
সপ্তম অধ্যায় : গ্যাসীয় বিনিময়
0/12
অষ্টম অধ্যায় : রেচন প্রক্রিয়া
0/12
দশম অধ্যায় : সমন্বয়
0/13
একাদশ অধ্যায় : জীবের প্রজনন
0/10
দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন
0/11
ত্রয়োদশ অধ্যায়: জীবের পরিবেশ
0/10
জীব বিজ্ঞান SSC Online
About Lesson

জীববৈচিত্র্য : আমাদের পৃথিবীর পরিবেশ জীব ও জড় উপাদান নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে
বিচিত্র ধরনের জীব ও অজ¯্র জড় পদার্থ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ লক্ষ প্রজাতির বর্ণনা ও নামকরণ পাওয়া গেছে।
এর প্রতিটি প্রজাতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এবং স্বকীয় বৈশিষ্ট্য দিয়ে যে কোনো একটি প্রজাতি অন্য সব প্রজাতি
হতে ভিন্ন ও শনাক্তকরণযোগ্য। যেমন- আনারস একটি প্রজাতি এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়ে একে অন্যান্য প্রজাতি থেকে
আলাদা করা সম্ভব। জীবদের মধ্যে বৈচিত্র্য থাকার কারণেই জীবজগতকে লক্ষ লক্ষ প্রজাতিতে বিভক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
আবার একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকে। তাই পৃথিবীতে বিরাজমান জীবসমূহের প্রাচুর্য ও ভিন্নতাই
হলো জীববৈচিত্র্য।
জীববৈচিত্র্যের প্রকারভেদ : জীববৈচিত্র্যকে তিন ভাগে বা স্তরে ভাগ করা হয়েছে। যথা১। প্রজাতিগত বৈচিত্র্য, ২। বংশগতীয় বৈচিত্র্য এবং ৩। বাস্তুতান্ত্রিক
বৈচিত্র্য ।
প্রজাতিগত বৈচিত্র্য : এক প্রজাতির সাথে অন্য প্রজাতির বিভিন্ন বিষয়ের ভিন্নতাই হলো প্রজাতিগত বৈচিত্র্য। সাধারণভাবে
প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলতে পৃথিবীতে বিরাজমান জীবসমূহের মোট প্রজাতির সংখ্যাকেই বোঝায়। যেমন- বাঘের সাথে
হরিণের আকার, স্বভাব, হিং¯্রতা, সংখ্যা, বৃদ্ধির ধরন ইত্যাদি ভিন্ন হয়।
বংশগতীয় বৈচিত্র্য : এ পৃথিবীতে একই প্রজাতিভুক্ত সদস্যদের মধ্যেও অনেক বিষয়ে পার্থক্য দেখা যায়। এ পার্থক্যগুলো
তৈরি হয় তাদের জিন সংগঠনের সামান্য বৈচিত্র্যের কারণে। এ বৈচিত্র্যতার কারণ হচ্ছে জিনের মাধ্যমেই জীবের বংশগত
বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে সঞ্চালিত হয়। প্রাণিদেহের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যের জন্য আলাদা আলাদা জীন দায়ী। বিভিন্ন কারণে এ
জীনের গঠন ও বিন্যাসের পরিবর্তন হয়ে জীবের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটায় এবং নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়। এ
বংশানুক্রমিক প্রক্রিয়ায় জীবের মধ্যে যে বৈচিত্র্য ঘটে তাকেই বংশগতীয় বৈচিত্র্য বলা হয়।
বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য : একটি বাস্তুতন্ত্রের ভৌত উপাদান ও জৈবিক উপাদানগুলোর মধ্যে কোন প্রকার পরিবর্তন দেখা দিলে
সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে। এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য সেখানে বসবাসরত জীবের
মধ্যেও পরিবর্তন সাধিত হয়। এ পরিবর্তনের জন্য যে জীববৈচিত্র্যের সৃষ্টি হয় তাকেই বলা হয় বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য।
যেমন- একটি পুকুরের বাস্তুতন্ত্রে যে সব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসতি গড়ে উঠে তা নদীর বাস্তুতন্ত্র থেকে ভিন্নতর।