Course Content
পঞ্চম অধ্যায়: খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক (Food, Nutrition, and Digestion)
0/17
ষষ্ঠ অধ্যায় : জীবে পরিবহণ (Transport in Living Organisms)
0/21
সপ্তম অধ্যায় : গ্যাসীয় বিনিময়
0/12
অষ্টম অধ্যায় : রেচন প্রক্রিয়া
0/12
দশম অধ্যায় : সমন্বয়
0/13
একাদশ অধ্যায় : জীবের প্রজনন
0/10
দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের বংশগতি ও বিবর্তন
0/11
ত্রয়োদশ অধ্যায়: জীবের পরিবেশ
0/10
জীব বিজ্ঞান SSC Online
About Lesson

সামাজিকতার দিক দিয়ে রক্তদান হল এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে প্রতিহিংসা -অহংকার, গরীব- ধনী, জাত-অজাত ইত্যাদির ভেদাভেদ কমিয়ে আনা সম্ভব। যখন মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ থাকবে না, তখন তৈরী গঠিত হবে একটি সুস্থ সমাজ।রক্তদান হল প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরনের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়।কিন্তু, অনুন্নত বা দরিদ্র দেশগুলোতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম! এর মধ্যে বেশিরভাগ রক্তদাতা আছেন, যারা তাদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন। তবে কিছু কিছু রক্তদাতা সমাজ সেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন। আবার কিছু পেশাদার রক্তদাতা আছে, যারা অর্থের বিনিময়ে রক্তদান করে থাকেন। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে কিছু রক্তদাতার যে জায়গায় সূঁচ প্রবেশ করানো হয় সেখানে কালশিরে পড়ে, আবার কেউ কেউ রক্তদানের পর দুর্বলতা অনুভব করেন, আবার অনেকে অসুস্থ হয়ে পরেন। যার কারণে ওই অনুন্নত বা দরিদ্র দেশগুলোতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা পরিমাণে কম।আবার, উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। তার কারণ, তাদের স্বাথ্য-সচেতনা খুব বেশী। তাদের ধারণা, যত রক্তদান করা হয় ততো শরীরের জন্যে ভাল। রক্ত দানের মাধ্যমে শরীরের কোন প্রকার ক্ষতি হয় না। বরং রক্ত দানের মাধ্যমে আমাদের দেহের সকল প্রকার কোষের উপকার হয়ে থাকে।অন্যদিকে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, তাদের অন্যদের তুলনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। বিশেষ করে কোলন, লিভার, পাকস্থলী, ফুসফুস ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হতে দেখা গিয়েছে। চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছিলো।নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা তা বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি। পাশাপাশি, রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।রক্তদাতাকে তার চিকিৎসার ইতিহাস জিজ্ঞাসা করা হয় এবং তার একটি সংক্ষিপ্ত শারীরিক পরিক্ষা করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্যে যে রক্তদান তার শরীরের জন্যে ক্ষতিকর হবে না। একজন রক্তদাতার প্রতি তিনমাস অন্তর অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে মানবদেহে নতুন রক্ত তৈরি হয়। অতএব, রক্তদানে কোন প্রকার ভয়বীতি না রেখে নিজেকে রাখা উচিত। কোন একজন রক্তদাতার মাধ্যমে কোন একজন রক্তগৃহিতার জীবন বেঁচে যাবে। প্রাপ্ত বয়স্ক আমরা যারা আছি, তাদের সবার দায়িত্ব রক্তদান করা।