Course Content
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : প্রাথমিক ধারণা (Information and Communication Technology: Basic Concepts)
0/1
প্রথম অধ্যায়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত (Information and Communication Technology: World and Bangladesh Perspectives)
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ICT HSC এক্সাম প্রস্তুতি
About Lesson

ডাটা বা উপাত্তকে আমরা কাচাঁমালের সাথে তুলনা করতে পারি। কাচাঁমালকে যেমন ব্যবহার উপযোগী করতে হলে
প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজন তেমনি উপাত্তকেও অর্থবহ করতে হলে প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণ করতে হয়। অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট
ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাচাঁমাল সমূহকে ডাটা বা উপাত্ত বলে। উপাত্ত শব্দ, সংখ্যা, ছবি, প্রতিক
ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আমাদের প্রতিটি কার্যকলাপ উপাত্তের জন্ম দেয়। কোন ঘটনায় বহু উপাত্ত জড়িত
থাকে। যেমন আমরা যখন কোন সুপার শপ থেকে পণ্য ক্রয় করি তাহলে রিসিট দেয়া হয়। একটু লক্ষ্য করলেই এতে কিছু
উপাত্ত দেখতে পাবো যেমন: পণ্য ক্রয়ের তারিখ এবং সময়, পণ্যের বিবরণ, দাম ইত্যাদি। এসব উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরণ
করেই একটি সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটি বৈধ রিসিট পাওয়া যায়।

তথ্য
কোন বিশেষ প্রেক্ষিতে ডাটাকে অর্থবহ করাই হল তথ্য বা ইনফরমেশন। ডাটা হল কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট যা অর্থবহ বা
কার্যকর নয়। আর তথ্য হল কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো উপাত্ত যা সহজবোধ্য, অর্থবহ, কার্যকর এবং ব্যবহার
উপযোগী।
উপাত্ত + প্রেক্ষিত + অর্থ = তথ্য

ধরা যাক ০৬১২১৪ একটি উপাত্ত; এটি তথ্য হবে যখন কোন বিশেষ প্রেক্ষিতে এটিকে অর্থবহ করা হবে। ভিন্ন ভিন্ন
প্রেক্ষিতে এর অর্থ ভিন্ন হবে। যেমন-
(ক) যদি এই উপাত্তটি দিয়ে ফফ.সস.ুু ফরমেটে ইংরেজী তারিখ প্রকাশের প্রেক্ষিতে চিন্তা করা হয় তাহলে এর অর্থ হবে
২০১২ সালের এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ।
(খ) আবার যদি এটি দিয়ে যড়ঁৎ:সরহ:ংবপ এই ফরমেটে সময় প্রকাশ করা হয় তবে এর অর্থ হবে ৬ টা ১২ মিনিট ১৪
সেকেন্ড।
কম্পিউটার বিজ্ঞান অনুসারে বলা যায় যে, কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ফলাফলই হল তথ্য।

উপাত্ত ও তথ্যের মধ্যে পার্থক্য
উপাত্ত তথ্য
সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত
কাচাঁমাল সমূহকে ডাটা বা উপাত্ত বলে।
তথ্য হল কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো উপাত্ত যা
সহজবোধ্য, অর্থবহ, কার্যতর এবং ব্যবহার উপযোগী।
তথ্যের ক্ষুদ্রতম এককই উপাত্ত যা বিভিন্ন উৎস থেকে
সংগ্রহ করা হয়।
উপাত্তকে প্রসেস করে তথ্যে রূপান্তর করা হয়।
উপাত্ত পুরোপুরি কোন অর্থ বা ভাবার্থ প্রকাশ করে না। তথ্য কোন বিষয়ের অর্থ বা ভাবার্থ প্রকাশ করে যা
ব্যবহারকারী বুঝতে পারে।
উপাত্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে না। তথ্য উপাত্তের উপর নির্ভর করে।
উপাত্ত তথ্য তৈরি প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। তথ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি:
তথ্য প্রযুক্তি
আধুনিক যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। সাধারণভাবে তথ্য প্রযুক্তি বলতে তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রয়োগ করার
প্রযুক্তিকে বুঝায়। একে ইনফরমেশন টেকনোলজি বা আইটি বলা হয়ে থাকে। টেলিযোগাযোগ, স্যাটেলাইট যোগাযোগ,
অডিও ভিডিও সম্প্রচার, ডাটাবেস ব্যবস্থাপনা, সফ্টওয়্যার উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক, মুদ্রণ প্রযুক্তি, বিনোদন প্রযুক্তি,শিক্ষণপ্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, তথ্য ভান্ডার সবগুলোকে তথ্য প্রযুক্তি বলা যেতে পারে। এক কথায় কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ

ব্যবস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, একত্রিকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রয়োগ ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়।
যোগাযোগ প্রযুক্তি
কম্পিউটার কিংবা অন্য কোন যন্ত্রের মাধ্যমে ডাটাকে একস্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে
স্থানান্তরের প্রক্রিয়া হচ্ছে ডাটা কমিউনিকেশন। কাজেই কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে
একস্থান (উৎস) হতে অন্যস্থানে (গন্তব্য) নির্ভরযোগ্যভাবে ডাটা বা উপাত্ত আদান-প্রদান সম্ভব। ডাটা কমিউনিকেশন
ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ঞবপযড়ষড়মু)
বলে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তথ্য প্রযুক্তির সাথে যোগাযোগ মাধ্যমের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে একত্রে তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ওহভড়ৎসধঃরড়হ ধহফ ঈড়সসঁহরপধঃরড়হ ঞবপযহড়ষড়মু-ওঈঞ) বলা হয়। কম্পিউটার বা অন্য কোন
ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে তথ্যকে এক স্থান থেকে অন্যত্র নির্ভরযোগ্য ভাবে আদান-প্রদান করাকে তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি বলে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার মানুষ ও তাদের কার্যক্রমকে বহুগুণে গতিশীল ও কার্যকর করে
তুলেছে।